Ön səhifə
   জীবন বৃত্তান্ত
   রচনাবলী
   মাসয়ালা মায়ায়েল
   বানীসমূহ
   ছেলের রচনাবলী
   পাঠাগার (ফীকাশাস্ত্র)
   ফটোগ্যলারী
   যোগাযোগ


Affiliate Websites
Affiliate Websites

   E-Mail Listing:


 

চল্লিশটি মাসয়ালা (হাজ্জ ও ওমরাহ)

১- মুসাফির মক্কা ও মদীনার যে কোনটাতেই নামায সম্পূর্ণ অথবা কসর পড়তে পারবে৷

২- এটাই উত্তম যে, মু'মিনরা আহ্লে সুন্নাতের নামাযের জামা'য়াতে শরিক হবেন৷ আর যেন মাসজিদুল হারাম ও মাসজিদুন্নাবাবীতে জামা'য়াতে নামায পড়ার ফজিলতকে হাত ছাড়া না করেন৷
৩- সম্ভব হলে জামা'য়াতে নামায পড়ার সময় এমন স্থানে দন্ডায়মান হতে হবে যাতে জামা'য়াতের সারির সাথে সম্পর্ক থাকে এবং এমন স্থানে সিজদাহ্ দিবে যেখানে সিজদাহ্ সহিহ হবে, যেমনঃ পাথর দিয়ে তৈরী গলি রাস্তা, কার্পেট ইত্যাদির উপর না হয়৷ আর এটা পুরুষ বা মহিলার মধ্যে কোন পার্থক্য নেই৷ তবে যদি না জানা থাকে বা ঘটনাক্রমে কার্পেটের উপর থাকা, অথবা এমন স্থানে দাড়ানো যেখানে জামা'য়াতের সারির সাথে সম্পর্ক নেই আথবা ছাদের উপর দাড়াতে হবে অথবা স্থানান্তরিত হওয়াতে অন্যের অসম্মান বা দৃষ্টিকটু হয় অথবা জামা'য়াতের সারি পূরণের জন্য বাধ্য হয় কার্পেটের উপর যেতে, এ সকল সেক্ষেত্রে অসুবিধা নেই কার্পেটের উপর নামায পড়তে এবং তার নামায সঠিক হবে৷
৪- ফুরাদা নামায পড়ার সময়, যদি নামাযীর র্কতৃত্ব থাকে তবে সেক্ষেত্রে পাথর দিয়ে তৈরী গলি রাস্তা বা কার্পেটের উপর সিজদাহ্ দিলে তা সঠিক হবে না৷ আর এই নিয়ম সব ধরনের নামায, যেমনঃ ওয়াজিব, মুসতাহাব ........ ইত্যাদির সেক্ষেত্রে পার্থক্য নেই৷

৫- মোহর, কাগজ ও এরূপ জিনিষ যার উপর সিজদাহ্ দেয়া ওয়াজিব, মক্কা ও মদীনার মসজিদে যদি এ সবের উপর সিজদাহ্ দেয়াতে শিয়াদেরকে অপমান, কটুবাক্য ও বিতর্কের সম্মুখীন করে তোলে তবে তা করা বৈধ নয়৷
৬- মাসজিদুল হারাম ও মাসজিদুন্নাবীতে পাথর দিয়ে যে মেঝে তৈরী করা হয়েছে তার উপর সিজদাহ্ দেয়া বৈধ৷
৭- মাসজিদুল হারামের উপরতলা এবং মসজিদুন্নাবীর ছাদের উপর নামাযের সেক্ষেত্রে জামা'তের সারির সাথে সম্পর্কযুক্ত নয়, সুতরাং জামা'তের নামাযের সময় এ সব স্থানে ইচ্ছাকৃতভাবে নামায পড়া ঠিক হবে না৷ তবে জামা'য়াতের নামাযের সময় অনিচ্ছাকৃতভাবে এসব স্থানে নামায পড়ায় কোন অসুবিধা নেই বা নামায সঠিক হবে৷
৮- যদি কোন ব্যক্তি নামায পড়ার জন্য সমজিদে প্রবেশ করে এবং দেখে যে, আহ্লে সুন্নাত ওয়াল জামা'য়াতের নামায শেষ হয়ে গেছে কিন্তু তখনও পর্যন্ত জামা'য়াতের সারি বিক্ষিপ্ত হয়নি সেক্ষেত্রে মুসতাহাব হচ্ছে ঐ ব্যক্তি তার নামায শুরু করার আগে আযান ও একামা দিবে এবং যদি সুন্নাত ওয়াল জামা'য়াতের সাথে নামায আদায় করার পর সতর্কতা অলম্বনের জন্য ঐ নামায পূনরায় পড়ে তবে সেক্ষেত্রেও এই এরূপ করতে হবে৷
৯- যিয়ারতের জন্য গোসল করা মুসতাহাব, কিন্তু ওযুর প্রয়োজনীয়তাকে পূরণ করে না৷ নামায পড়ার জন্য অবশ্যই ওযু করতে হবে৷
১০- মাসজিদুল হারামে যেহেতু নামায গোলাকৃতিকারে আদায় হয়ে থাকে, সেক্ষেত্রে মু'মিনগণ এমন স্থানে দাড়াবেন যাতে করে সাধারণ দৃষ্টিতে ইমামের পিছনে দাড়িয়েছেন বোঝা যায়৷ সুতরাং যদি তাকিয়া করা ব্যতীত ইমামের মুখমুখি অথবা পাশা-পাশি দাড়িয়ে নামায আদায় করেন তবে সেক্ষেত্রে তাকে ঐ নামায পূনরায় পড়তে হবে৷
১১- সুন্নাত ওয়াল জামা'য়াতের মগরেবের নামাযে শরিক হওয়াতে কোন অসুবিধা নেই৷ যদিও তাদের এই নামাযে আযান ও নামায আদায় এই দু'য়ের মধ্যে অনেক সময়ের ব্যবধান থাকে৷
১২- সাধারণত জুময়ার দিনে ফজরের নামাযে ইমাম সাহেব সিজদার আয়াত পড়ে থাকেন এবং আয়াত পড়া শেষে সিজদায় যান, হ্যাঁ যেহেতু এই বিষয়টি তাকিয়া বহির্ভূত কোন বিষয় নয় সেহেতু ইমাম সাহেবকে অনুসরণ করলে নামায সঠিক হবে কিন্তু সতর্কতা দৃষ্টিতে নামায শেষে পূনরায় সিজদার আয়াত পড়ার জন্য সিজদাহ্ দিতে হবে৷ আর হ্যাঁ, যদি ভূলবশতঃ কেউ আয়াত পড়া শেষে সিজদায় না গিয়ে রুকুতে যায় তবে তার নামায বাতিল হয়ে যাবে এবং পূনরায় তা আদায় করতে হবে৷
১৩- মাসজিদুন্নাবীতে নামায পড়ার ছওয়াব হচ্ছে দশ হাজার রা'কাত নামাযের সমান এবং মাসজিদুল হারামে নামায পড়ার ছওয়াব হচ্ছে একশ হাজার রা'কাত নামাযের সমান৷ তাই মু'মিনগণ যত সম্ভব এই দু'মসজিদে নামায আদায় করবেন আর এই দু'মসজিদের নতুন বর্ধিত অংশে নামায আদায় করার ছওয়াবও ঐরূপ৷
১৪- মাসজিদুল হারাম ও মুসজিদুন্নাবীতে যাওয়া এবং তার মধ্যে অবস্থান করা ও সিজদাহ্ যুক্ত আয়াতসমূহ পাঠ করা ইসতিহাযা মহিলাদের জন্য কোন অসুবিধা নেই৷ তবে সতর্কতামূলক মুসতাহাব হচ্ছে এই সকল কাজ আঞ্জাম দেয়ার জন্য অবশ্যই তাকে তার ঋতুস্রাবের শেষে পবিত্রার গোসল করতে হবে৷
১৫- মুসাফির মদীনায় তিন দিন মুসতাহাব রোযা রাখতে পারবেন, যদিও তাদের উপর কাযা রোযা ওয়াজিব থেকে থাকে তথাপিও কাযা রোযা অথবা অন্য কোন রোযার নিয়ত করতে পারবেন না৷ আর এই তিনটি মুসতাহাব রোযা যেন বুধ, বৃহঃ ও শুক্রবারে রাখা হয়৷
১৬- রোযা থেকে যিয়াতুদ্দাওয়ারাহ্ পর্যন্ত যাওয়াতে কোন অসুবিধা নেই, কেননা এই স্থানসমূহ শরিয়তের বিধানে রোযা রেখে যে সীমানা পর্যন্ত সফর করা যায় তার মধ্যে৷
১৭- যদি কারো জুতা হারিয়ে যায়, সেক্ষেত্রে যে জুতাগুলো পড়ে আছে তা নিতে পারবে না৷ শুধুমাত্র ঐ জুতার মালিকের অনুমতি থাকলে অথবা মালিকের প্রয়োজন শেষ হয়ে গেলে৷
১৮- যে সমস্ত কাজে মাযহাব অপমানীত হয়, শিয়াগণ লজ্জিত ও অসম্মানীত হয়, দ্বীনের উত্তরাধিকারীগণের সম্মানহানী ঘটে এবং শত্রুপ তাদের উপযুক্ততাকে ও শিয়াদেরকে নির্মুল করার উপায় হিসেবে ব্যবহার করতে পারে সে ধরনের কাজ করা থেকে মু'মিনগণ যেন বিরত থাকেন৷ যদি কোন সাধারণ মানুষ অসতর্কমূলকভাবে এমন কাজ করে ফেলেন তবে তাকে শান্তভাবে বন্ধুত্বের সাথে উপদেশ প্রদান করতে হবে৷ যেমন নিম্নোক্ত বিষয়গুলোঃ রাসূল আকরাম (সাঃ)-এর মাযার শরিফ ও তার দরজাতে হাত বুলানো, চুমা দেয়া, কোন জিনিষ তাবাররুক করার উদ্দেশ্যে তাতে ছুইয়ে নেয়া অথবা কবরস্থানে বাকীর রেলিংয়ে ছুইয়ে নেয়া, মাযার শরিফে অথবা কবরস্থানে বাকীতে আরিযা বা টাকা ফেলা, কবরস্থানে বাকী ও আবুতালেবের মধ্যে অথবা পাশে নামায আদায় করা, কবরস্থানে বাকীর রেলিংয়ে সুতা বাধা, কবরস্থানে বাকী বা মক্কা ও মদীনার পবিত্র স্থানসমূহ থেকে মাটি তুলে নেয়া, আযান ও নামাযের সময় বাকীর পিছনে বা অন্যান্য স্থানে দাড়িয়ে থাকা, মহিলাদের রাস্তায়, বাজারে ও দোকানে হিজাব রা না করা ইত্যাদী..............৷
১৯- যে ব্যক্তি তার প্রথম বছরের খোমস্ দেইনি কিন্তু তার বেতন থেকে ও অন্যান্য উপার্জন থেকে অল্ল অল্ল করে জমা করছে যা এক বছর অতিক্রান্ত হয়েছে, আর ঐ বছরেই সে হজ্জ, ওমরাহ্, ও অন্যান্য সফরের জন্য ঐ অর্থ খরচ করে তবে ঐ বছরের খোমস্ তার জন্য ওয়াজিব নয়৷
২০- যে অর্থ হজ্জের জন্য সরকারকে যে টাকা প্রদান করতে হয় যদি তা ঐ বছরের জমানো অর্থ দ্বারা করে থাকে তবে ঐ অর্থের কোন খোমস্ দিতে হবে না৷ আর যদি এমন অর্থ দিয়ে নিবন্ধিত হয়ে থাকে যে অর্থের খোমস্ দেয়া ওয়াজিব ছিল অথবা ঐ অর্থের এক বছর পার হয়ে গিয়ে থাকে৷ এমতবস্থায় ঐ অর্থ দিয়ে নিবন্ধিত হতে চাইলে অবশ্যই তার খোমস্ দিতে হবে৷
২১- মুসতাহাব হজ্জ বা ওমরায়ে মুফরাদাহ্ করার জন্য নিবন্ধিত হতে অর্থ প্রদান করছে এবং যাওয়ার পালা এক বছর পর আসে তবে ঐ নিবন্ধিত হওয়ার জন্য যে অর্থ প্রদান করেছিল তার খোমস্ দিতে হবে৷ যদি কেউ হাজ্জে ওয়জিব আঞ্জাম দিয়ে থাকে এবং সতর্কতার কারণে আবাব ঐ হজ্জকে আঞ্জাম দিতে চায় আর তা আঞ্জাম দেয়ার জন্য নিবন্ধিত হতে অর্থ দিয়ে থাকে এবং তার পালা এক বছর পর আসে তবে সতর্কতামূলক ওয়াজিব হচ্ছে ঐ অর্থের খোমস্ দেয়া৷
২২- যে মহিলার ঋতুস্রাব হয়েছে সে মসজিদ পার হওয়ার সময় মুহরেম হতে পারবে, কিন্তু মসজিদের মধ্যে সামান্য সময়ের জন্যও অবস্থান করতে পারবে না৷ আর এটা তখনই সম্ভব যখন মসজিদের দুইটি দরজা থাকবে, কেননা এক দরজা দিয়ে ঢুকবে আর আরেক দরজা দিয়ে রেরিয়ে যাবে, যদিও মসজিদের পাশে মুহরেম হয়ে থাকে৷ এরূপে মদীনাতেও নজর করে মুহরেম হতে পারবে৷
২৩- যে ব্যক্তি মদীনায় নজরের মাধ্যমে মুহরেম হতে চায় তার জন্য নজরের সিগা হচ্ছে এটাঃ "লিল্লাহী আলাইয়া আন উহ্রিমা মিনাল মাদীনাতি" অথবা বাংলায় বলবেঃ "আমি আল্লাহ্র জন্যে মদীনা থেকে মুহরেম হয়ে ওমরাহ্ মুফরাদাহ্ আঞ্জাম দিব"৷
২৪- যদি ঘটনাক্রমে মাসজিদে সাজারাহ্ বন্ধ থাকে অথবা ওখানে কোন মহিলার ঋতুস্রাব হয়েছে আর সে মদীনায় নজরের মাধ্যমে মুহ্রেম হয়নি, সেক্ষেত্রে সে মদীনার কিছু দুরে যাবে (মিকতের নিকটবর্তী হলেই হবে) এবং সেখানে নজরের মাধ্যমে মুহরেম হবে আর এর জন্য যে সিগা পড়তে হবে তা এরূপঃ "লিল্লাহী আলাইয়া আন উহ্রিমা মিন হাযাল মাকান" অথবা বাংলায় বলবেঃ "আমি আল্লাহর জন্য এই স্থানে মুহরেম হয়ে ওমরাহ্ মুফরাদাহ্ আঞ্জাম দিব"৷ সুতরাং এই সিগা পড়ার মাধ্যমে ঐ স্থান থেকেই তার জন্য ইহরাম ওয়াজিব হয়ে যাবে এবং নিয়ত করবে ও ইহরামের পোশাক পরে তালবিয়ে বলবে৷
২৫- যদি মহিলার স্বামি তার থাকে তবে তার অনুমতি নিয়ে নজর করতে হবে৷ আর যদি তার স্বামি না থেকে থাকে তবে তার অনুমতি নেয়ার প্রয়োজন নেই, কেননা যখন এই সফর বা আমল আঞ্জাম দেয়ার অনুমতি দিয়েছে এতটুকুই যথেষ্ট৷
২৬- মুহরেম হওয়ার জন্য গোসল করা মুসতাহাব, কিন্তু ওযুর প্রয়োজনকে সমাপ্ত করে না, তাই নামাযের জন্য অবশ্যই ওযু করতে হবে৷
২৭- ইহরাম বাধার সময় প্রয়োজন নেই নিয়তকে উচ্চ স্বরে বলবে, কিন্তু যদি বলতে চায় যা মুসতাহাব তবে তা ইহরামের পোশাক পরিধানে পরে বলবে এরূপেঃ "আমি ওমরাহ্ মুফরাদাহ্ অথবা ওমারাহ্ তামাত্তুর আমলকে আঞ্জাম দিব কুরবাতান ইলাল্লাহ্" এরপর তালবিয়েহ্ বলবে৷
২৮- সতর্কতামুলক মুসতাহাব হচ্ছে মহিলাগণ শুধুমাত্র নিয়ত ও তালবিয়েহ্ বলতে বলতে ইহরামের সিলাই বিহীন দু'টি পোশাক পরিধান করবে৷
২৯- তালবিয়েহ্ হচ্ছে এরূপঃ "লাব্বাইক, আল্লাহুম্মা লাব্বাইক, লাব্বাইকা লা শারিকা লাকা লাব্বাইক" যা মুহ্রেমকে এক সংঙ্গে বলতে হবে এবং সঠিক হবে৷ আর সতর্কতামূলক মুসতাহাব হচ্ছে এর পরে বলতে হবেঃ "ইন্নাল হামদা ওয়ান নি'মাতা লাকা ওয়াল মুলকা লা শারিকা লাকা লাব্বাইক"৷
৩০- যদি মহিলাগণের কন্ঠস্বর পুরুষেরা শুনতে পায় সেক্ষেত্রে উত্তম হচ্ছে তালবিয়েহ্ আস্তে পড়া, যাতে করে তাদের কন্ঠস্বর নামাহারাম শুনতে না পায়৷
৩১- রাতে ছাদ বিশিষ্ট গাড়ীতে যাওয়া কোন অসুবিধা নেই বা তার জন্য কোন কাফ্ফারাহ্ও দিতে হবে না৷
৩২- যে ব্যক্তি তানইম মসজিদে ওমরাহ্ করার উদ্দেশ্যে মুহরেম হয়ে থাকে সে ব্যক্তি দিনের বেলাতেও মসজিদে হারামে পৌছানো জন্য ছাদ বিশিষ্ট গাড়ীতে উঠতে পারবে৷ (কেননা তানইম হচ্ছে মক্কার একটি শহর)৷
৩৩- ক্ষুদ্রাকৃতির সিলাইকৃত জিনিষসমূহ যাকে পোশাক বলে না, যেমনঃ চপ্পল, ঘড়ির বেল্ট, কোমরের বেল্ট ইত্যাদি, ইহরাম অবস্থান পুরূষের কাছে থাকাতে কোন অসুবিধা নেই বা কোন কাফ্ফারাও নেই৷
৩৪- ইহরাম বাধা ব্যক্তির মাধ্যমে যদি কোন হারাম কাজ সংঘটিত হয় ঐ ব্যক্তির উপর কাফ্ফারা তখনই ওয়াজিব হবে যদি সে জ্ঞানসম্মতভাবে ও ইচ্ছাকৃতভাবে ঐ কাজ আঞ্জাম দিয়ে থাকে৷ আর যদি জ্ঞানহীনভাবে অথবা অনিচ্ছকৃতভাবে অথবা ভূলক্রমে আঞ্জাম দিয়ে থাকে সেক্ষেত্রে তার উপর কাফ্ফারা ওয়াজিব হবে না৷
৩৫- ওয়াজিব তাওয়াফ ও সা'ই-মারওয়াহ্র আমল সম্পন্ন করার আগেই বন্ধ করা বিভিন্ন দৃষ্টিকোণে বৈধ আছে, কিন্তু কাজটি হচ্ছে অপছন্দনিয়৷ আর যেহেতু সম্পন্ন করার আগেই বন্ধ করে দিয়েছে তাই ঐ আমল আঞ্জাম দেয়ার ক্ষেত্রে আবার প্রথম থেকে শুরু করতে হবে৷
৩৬- যদি তাওয়াফের সর্বশেষ ঘোরাটা বা সা'ই-মারওয়াহ্র সর্বশেষ দৌড়টা না করে তা বন্ধ করে দেয় এবং পরবর্তীতে তা পূনরায় প্রথম থেকে আঞ্জাম দিয়ে শেষ করে তবে তা সঠিক কিন্তু শর্ত হচ্ছে যেন পর্যায়ক্রমিকতা নষ্ট না হয়৷ তা সে যেকোন বারের ঘোরা অথবা দৌড় থেকে বন্ধ করে থাকে৷
৩৭- যদি জনগণের প্রচুর ভিড় থাকে এবং কোন কোন হাজীর পক্ষে (কা'বা ও মাকামে ইব্রাহীম) তাওয়াফ করা সমস্যা দেখা দেয় বা অপো করাও তাদের জন্য কষ্ট ও অস্বস্তির কারণ হয় তবে তারা ঐ সীমার বাইরে থেকে তাওয়াফ করতে পারবে তবে অনেক দুর থেকে নয়৷
৩৮- যারা আরবী সঠিক উচ্চারণ অথবা কোন কোন ব্যক্তিগত আমল করতে অপারগ হয়ে থকে সে ক্ষেত্রে নিজ ইচ্ছায় অন্যের প থেকে হজ্জ অথবা ওমরাহ্ (মুসতাহাব) এমনকি আইম্মা আলাইহিমুস সালামদের তরফ থেকে আঞ্জাম দিবে৷ আর যদি হজ্জের জন্য কেউ তাকে ঐ ব্যক্তির প থেকে পাঠিয়ে থাকে এবং ঐ ব্যক্তি যদি জেনেও থাকে যে, এই ব্যক্তি কিছু কিছু ব্যক্তিগত আমল করতে পারবে না তথাপিও কোন অসুবিধা নেই বা তা সঠিক হবে৷
৩৯- যে কেউ আরবী মাসের যেকোন মাসে একটি ওমরাহ্ নিজের জন্য আঞ্জাম দিতে পারবে, কিন্তু কয়েকজনের তরফ থেকে কয়েকটি ওমরাহ্ আঞ্জাম দিতে পারবে৷
৪০- অনেক সময় মাসজিদুল হারাম ও মাসজিদুন্নাবীতে ভিজা ভিজা অবস্থা পরিলতি হয়ে থাকে এটা পবিত্র বা সকর্তা অবলম্বন করার কোন প্রয়োজন নেই৷
ইমাম সাদিক (আঃ) থেকে দু'টি রেওয়ায়েতঃ
১- হজ্জ ও ওমরাহ্ হচ্ছে দু'টি আখেরাতের বাজার.. .. ...
২- যে ব্যক্তি তার ওয়াজিব হজ্জকে আঞ্জাম দেয়, সে আগুনের শিকলকে নিজের গলা থেকে দুর করল৷
ওয়াল হামদু লিল্লাহি রাবি্বল আ'লামিন ওয়া সাল্লাল্লাহু আলা মুহাম্মাদ ওয়া আলেহিত্তাহিরিণ